Header Ads Widget

Responsive Advertisement

মির্জা ফখরুল পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যাবেন, নাকি নিচ দিয়ে যাবেন: প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

 তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ৪১ বছর আগে ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনই ছিল না, ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্রের অগ্নিবীণা ও উন্নয়ন-প্রগতির প্রত্যাবর্তন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।



‘আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু করতে পারবে না’ খালেদা জিয়া ও মির্জা ফখরুলদের এমন মন্তব্য এখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়ায়—এ কথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখন পদ্মা সেতু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন, আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। ফখরুল সাহেবরা পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যাবেন, নাকি নিচ দিয়ে আওয়ামী লীগের নৌকায় করে যাবেন, সেটি ভাবছি। তাঁদের যদি লজ্জা থাকে, জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে তাঁরা যেতে পারেন। আমরা চাই, আপনারা পদ্মা সেতু ব্যবহার করেন।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সূচনা বক্তব্য দেন। এ সময় আওয়ামী লীগসহ জাতীয় নেতা ও দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা বক্তব্য দেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার হার না মানা দেশপ্রেম ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে জিয়াউর রহমান তাঁকে দেশে ফিরতে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসেবে কাজ করে আসা হাছান মাহমুদ বলেন, সেদিনের মুষলধারে বৃষ্টি যেন ছিল শেখ হাসিনাকে পেয়ে প্রকৃতির আনন্দাশ্রু।

আর মেঘগর্জন ছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের প্রতি তীব্র ধিক্কার। শেখ হাসিনাকে বরণ করে প্রকৃতি যেন জানান দিয়েছিল—ষড়যন্ত্রকারী, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দিন শেষ।

এ সময় নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বলতে চাই, আমরা এখনো মাঠে নামি নাই,


প্রয়োজন নামব। যদি কেউ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে চায়, তাদের প্রতিহত করব।’

হাছান মাহমুদ বলেন, সব প্রতিকূলতার মধ্যেও স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ের দেশে, খাদ্যে ঘাটতি থেকে উদ্বৃত্তের দেশে উন্নীত করে চিরদিন দেশের মানুষের পাশে থাকা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।

Post a Comment

0 Comments